চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গেছে অসংখ্য মাছ চাষের জলাশয়। এতে মৎস্যখাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৯০ কোটি টাকার সমপরিমাণ। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।
তিনি জানান, গত বছরও (২০২৩) আগস্টের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যায় চট্টগ্রাম জেলা জুড়ে মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। গত কয়েকদিনের ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যায় জেলার ১৫টি উপজেলায় ১৬২টি পৌরসভা ও ইউনিয়নপর্যায়ে পাঁচ হাজার ৫৪১ দশমকি ৬ হেক্টরের ১৬ হাজার ৮৬৪টি পুকুর দিঘী ও মাছের খাবার এবং বাঁশখালীর ১২ হেক্টর মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব ক্ষতিগ্রস্ত খামার দীঘিপুকুর ও ঘেরের ১৬ হাজার ৫৯৫ দশমকি ৮ মেট্রিক টন মাছ এবং ১৪ মেট্রিক টন মাছের পোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে মাছে ২৮৯ কোটি ৬৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা ও প্রণয় ক্ষতি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ মাছ ও পোনায় ক্ষতি হয়েছে ক্ষতি হয়েছে ২৯০ কোটি ১৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা এবং অবকাঠামোর অতি সাধিত হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। মাছ এবং অবয়ঠামো মিলিয়ে ২৯০ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আমরা চাষিরা একটি ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছি। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতির তথ্য উঠে এসেছে। ৮ বছর ধরে আমি মাছচাষের সঙ্গে জড়িত। এত বড় ক্ষতির মুখে কখনও পড়িনি।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের মীরসরাই, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন উপজেলার মৎস্যচাষের পুকুর, দিঘি ও হ্যাচারির মাছ ভেসে গেছে। শুধু মীরসরাই উপজেলায় মৎস্যখাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪২ কোটি টাকা। মীরসরাইয়ের পর বেশি ক্ষতি হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। এ উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নের পুকুর, দিঘি ও মৎস্য প্রজেক্ট বানের পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি ১০ লাখ টাকা।
একই অবস্থা হয়েছে হাটহাজারী উপজেলায়ও। এ উপজেলায় বানের পানিতে ভেসে গেছে ১২ কোটি টাকার মাছ। অন্যান্য উপজেলাতেও বন্যায় মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।