গোয়েন্দাদের জেরার মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিতে শুরু করেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। রিমান্ডে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের তিনি বলেছেন তার অর্থ লোপাটের নানা কাহিনি। অর্থ লুটের নানা ফন্দিফিকিরের তথ্য জানতে পেরে গোয়েন্দারা হতবাক। তারা বলছেন, অর্থ লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড হলেন সালমান এফ রহমান। গ্রেপ্তারকৃত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগ করার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন এই আইনমন্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হক বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কারণে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সমাধানের দিকে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আন্দোলন দমনে তারা খুবই এগ্রেসিভ ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের নাম কেবল হত্যাকান্ডের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট নয়, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে চরমভাবে অপব্যবহারও করেছিলেন তারা। পাশাপাশি ভয়াবহ আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সালমান। তাই রিমান্ডে হত্যা মামলার পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনীতির মন্দা অবস্থা সৃষ্টি করাসহ বিগত সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা দিচ্ছেন অজানা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তকারী সূত্র জানায়, দেশের ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজার, বন্ড মার্কেটসহ পুরো আর্থিক খাতকে কলুষিত করার পেছনে থেকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের কারিগর হিসেবে উত্থান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সর্বস্ব লুটে নিয়েছেন। জানা গেছে, শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাতে কেলেঙ্কারির মূল হোতাদের একজন হিসেবে গত ১৫ বছর ধরেই আলোচনায় ছিল সালমান এফ রহমানের নাম। তবে খাত দুটিতে সালমানের দৌরাত্ম্য আরও অনেক আগে থেকেই। সালমান এফ রহমানকে ঋণখেলাপির জনক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সরকারি-বেসরকারি ৭টি ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ৩৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি ব্যাংক থেকেই নেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা। পণ্য রপ্তানি করে টাকা দেশে না আনার অভিযোগও রয়েছে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। গত তিন বছরে শেয়ারবাজার থেকে তুলেছেন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। আর অদৃশ্যভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন আরও ২০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার সবকিছু জেনেশুনেই এসব ঋণ অনুমোদন দিতে সহায়তা করেছেন। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিল করার জন্য নীতিমালা পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সরকারি-বেসরকারি ৭ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৩৭ হাজার কোটি টাকা : দেশের চারটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। চলতি বছরের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো গ্রুপ একাই প্রায় ২৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিটেডের চেয়েও বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকে ৯৬৫ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকে ১ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকে ২ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকে ৬ হাজার ৩১ কোটি টাকা ও এবি ব্যাংকে ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। তবে শুধু আইএফআইসি ব্যাংকেই সালমান এফ রহমানের নামে-বেনামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। আইএফআইসি ব্যাংকের শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে রয়েছে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২০ কোটি টাকা। সানস্টার বিজনেসের ঋণ ৬১৫ কোটি টাকা, ফারইস্ট বিজনেসের ঋণ ৬১৪ কোটি টাকা, কসমস কমোডিটিস লিমিটেডের ঋণ ৬১২ কোটি টাকা ও উত্তরা জুট ফাইবারসের ঋণ ৫৫২ কোটি টাকা। অ্যাবসোল্যুট কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ঋণ ৪৬৩ কোটি টাকা, অ্যাপোলো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ঋণ ৪৫৫ কোটি টাকা, অল্ট্রন ট্রেডিং লিমিটেডের ঋণ ৪৪৯ কোটি টাকা ও নর্থস্টোন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ঋণ ৪২১ কোটি টাক। এ ছাড়াও আইএফআইসি ব্যাংক থেকে আসাদ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নামে ৪২৬ কোটি টাকা ও সার্ভ কনস্ট্রাকশনের নামেও ৪০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে। সালমান এফ রহমানের ২০০ মেগাওয়াট তিস্তা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরমানুল ইসলামকে নির্দেশ দেন তৎকালীন অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার। তহবিল সংকটের বিষয়টি অর্থ সচিবকে জানালে পদত্যাগে বাধ্য হন ফরমানুল ইসলাম। পরবর্তীতে জাইকা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা পায় তিস্তা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সব কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত সালমান এফ রহমান। শেয়ারবাজার কারসাজিতেও সালমান এফ রহমানের নাম সবার আগে। বিভিন্ন নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির নাম দিয়ে তিনি শেয়ার কারসাজি করেছেন। বিভিন্ন সময় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তার নাম এলেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতাকে। সালমান এফ রহমানের কারসাজির একটি উদাহরণ জিএমজি এয়ারলাইনস। ২০১০ সালে এই কোম্পানির নামে শেয়ার বিক্রি করে মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ প্রলুব্ধ করতে তিনি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে কারসাজি করে মুনাফা বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। লোকসানি একটি কোম্পানিতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা মুনাফা দেখানো হয়। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলে নেওয়ার পর কোম্পানির দৈন্যদশার চিত্র ফুটে ওঠে। শেষ পর্যন্ত কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিনিয়োগকারীরা একটি টাকাও ফেরত পাননি। ঋণের টাকাও ফেরত পায়নি সোনালী ব্যাংক। পরে সোনালী ব্যাংক জিএমজি এয়ারলাইনসের সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশে নিলাম স্থগিত করা হয়। ১৯৯০ সালে চারটি ডি ভেঞ্চারের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন সালমান এফ রহমান। ১০ বছর পর এই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি দেননি। শেষ পর্যন্ত প্রায় ২১ বছর পর এই টাকার আংশিক ফেরত দেওয়া হয়। সেটিও বড় অঙ্কের বন্ড ইস্যু করার সুবিধার্থে। ডি ভেঞ্চারের টাকা ফেরত না পাওয়ায় মানুষ এই বিনিয়োগ মাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে আর কোনো কোম্পানি ডি ভেঞ্চারের মাধ্যমে টাকা তোলার পরিকল্পনাও করতে পারেনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সালমান এফ রহমানের টাকা তুলে নেওয়ার সর্বশেষ মাধ্যম হচ্ছে বন্ড। ২০২১ সালে সুকুক বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। ব্যাংকগুলো সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে রাজি না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ও বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে বিনিয়োগ করানো হয়। এই বন্ডে বিনিয়োগের জন্য সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছিলেন। শুধু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্তে ২০২০ সালে করোনাকালে প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা করে সহায়তা দেওয়ার জন্য তহবিল গঠন করেছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলোকে তিনি এই টাকা সুকুকে বিনিয়োগ করতে বাধ্য করেন। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার দিয়ে জানায় ব্যাংকগুলো এই টাকা সুকুক বন্ডেও বিনিয়োগ করতে পারবে। ব্যাংকগুলো শেয়ার বিক্রি করে বন্ড কেনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্য সূচক প্রায় ১২০০ পয়েন্ট কমে যায়। সুকুকের পর আবারও ১ হাজার কোটি টাকার একটি বন্ড ইস্যু করার অনুমতি দেওয়া হয় সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠানকে। শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের নামে এই অর্থ তুলতে ব্যবহার করা হয় আইএফআইসি ব্যাংককে। আইএফআইসি আমার বন্ড নাম দিয়ে এই টাকা তোলা হয়। যেখানে ব্যাংকটি গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করে। নিজের কোম্পানিকে সুবিধা দিতে আমানতকারীদের অর্থে চলা ব্যাংকটিকে ব্যবহার করা নিয়ে নানা সমালোচনার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া দেড় হাজার কোটি টাকা তোলার জন্য জিরো কুপন ইস্যু করার অনুমতি দেওয়া হয় গত এপ্রিল মাসে।
এই বন্ড কিনতেও সালমান এফ রহমান আবারও বিভিন্ন ব্যাংককে চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেন। জানা গেছে, ২০১০ সালে শেয়ারবাজার কারসাজি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে সালমান এফ রহমানের নাম। তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে ২০১১ সালে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রভাব খাটিয়ে ওই সময়ে বেক্সিমকো ফার্মার প্রেফারেন্স শেয়ার পাস করিয়ে নেন তিনি। এই শেয়ারের মাধ্যমে প্রিমিয়ামসহ ৪১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। একই সময়ে শাইনপুকুর সিরামিকের মাধ্যমে ২৮৬ কোটি এবং বেক্সিমকো টেক্সটাইলের মাধ্যমে ৬৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। ২০১৩ সালের আইএফআইসি ব্যাংকের টাকায় নেপালের লোকসানি প্রতিষ্ঠানের ১০ টাকার শেয়ার ৭৫ টাকায় কেনেন তিনি। এই প্রক্রিয়ায় সেখানে ১২৫ কোটি টাকা পাচার করা হয়। ২০১১ সালে ভুয়া কাগজপত্রে আইএফআইসি মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। ১৯৯৬ সালে শাইনপুকুর সিরামিক ও দোহা সিকিউরিটিজের কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার আসামি সালমান এফ রহমান। মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
রূপালী ব্যাংকের শেয়ার থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৯০০ কোটি টাকা : ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন। দরপত্রে অংশ নিয়ে সৌদি যুবরাজ প্রিন্স বন্দর বিন মোহাম্মদ আবদুল রহমান আল সৌদ রূপালী ব্যাংকের ৯৩ ভাগ শেয়ারের জন্য ৪৫ কোটি ডলার মূল্য প্রস্তাব করেন। বিক্রির গুঞ্জন শুরু হতে না হতেই রূপালী ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ার ৪০০ টাকায় কেনেন সালমান এফ রহমান। পরবর্তীতে জানা যায় এই নামে কোনো সৌদি যুবরাজ নেই। অর্থাৎ এক ব্যক্তিকে ভুয়া সৌদি যুবরাজ সাজিয়ে রূপালী ব্যাংক কেনার নাটক সাজানো হয়। তখন রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ৩ হাজার ৪০০ টাকায় উন্নীত হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকের শেয়ার থেকে ৯০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন সালমান।
টুকু-পলককে জিজ্ঞাসাবাদ :এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালক হত্যা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকেও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হেফাজতে থাকা সালমান, আনিসুল, টুকু, পলকসহ পাঁচজনই তিনবেলা ডিবির সরবরাহ করা খাবার খাচ্ছেন। খাবার তালিকায় আছে-সকালে ডাল, রুটি, সবজি এবং দুপুরে ও রাতে ভাত, মাছ-মাংস, ডাল, সবজি। ডিবিতে তাদের রাখা হয়েছে সাধারণ অপরাধীদের মতো। এক্ষেত্রে তারা কোনো বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন না। তাদের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ ও কাপড়চোপড় বাইরে থেকে দেওয়া হয়েছে।