অনুমতি ছাড়া এক ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ না থাকার কারণে অস্ত্রটি জব্দ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার নাম কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশহীন অবস্থায় সারা দেশে নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এমন ঘটনা ঘটল। তবে ওই অস্ত্রধারী ব্যক্তি কী উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন, সেটি প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে বিশেষ প্রয়োজনে কেউ ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে- এ বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ নামে একজন বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করেন। অস্ত্র নিয়ে তিনি গভর্নর বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করতে চাইলে সেখানকার সিকিউরিটি তাকে বাধা দেয়। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের পাশ নিয়েছিলেন। তবে সে সময় মাসুদ বিশ্বাস কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ছিলেন না।
‘তারপর সাঈদী সেই ব্যক্তিগত সহকারীকে নিচে ডেকে আনান এবং তার কাছে অস্ত্র দিয়ে তিনি নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে যান।এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মো. শামিমুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে অস্ত্রটি জব্দ করেন। পরে সাঈদীর সঙ্গে কথা বলে তাকে ছেড়ে দেন শামিমুর। কারণ জানতে চাইলে তিনি পুলিশ না থাকার কথা জানান।’
শামিমুর বলেন, এখানে আমাদের ভল্ট আছে। অস্ত্রের মুখে সে আমাদের ভল্ট খুলতে বাধ্য করতে পারে। তাই বৈধ অস্ত্র নিয়েও বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। এখন থানা পুলিশ থাকলে তাকে পুলিশের কাছে হ্যান্ডওভার করতাম। যেহেতু থানা সচল নেই, তাই তার অস্ত্র জব্দ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অস্ত্রটি লাইসেন্স করা জানিয়ে শামিমুর বলেন, সে কিভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেল তা আমরা যাচাই করে দেখব।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।