ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের এক হাজার ৪১৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমে পরের অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৯২১ কোটি ডলারে। ভারতে রফতানি বাড়িয়ে ঘাটতি আরও নামানোর তাগিদ ব্যবসায়ীদের। দুবছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি কমার এ তথ্যটি ভখারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের।
প্রতিবেশি দেশ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার। দেশটিতে যে পরিমাণ পণ্য রফতানি করা হয়, আমদানি করা হয় তার কয়েকগুণ বেশি। ফলে বরাবরই তেশটির সঙ্গে বড় বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকে বাংলাদেশ। তবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পরিসংখ্যান দিচ্ছে অন্য বার্তা।
ভারতে অর্থবছর হিসাব করা হয় এপ্রিল থেকে পরবর্তী মার্চ পর্যন্ত। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে এক হাজার ৬১৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে দেশটি। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৪.৩৯ শতাংশ কমে নামে এক হাজার ২২১ কোটি ৫৯ লাখ ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরও ৯.৪৫ শতাংশ কমে নামে এক হাজার ১০৬ কোটি ১২ লাখ ডলারে।
এদিকে, বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ভারতের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্যে সুদিন দেখে বাংলাদেশ। ২০২২–২৩ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ভারতে বাংলাদেশের রফতানি ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। অবশ্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুদ্ধ বিঘ্নিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খানিকটা ছন্দপতন ঘটে। রফতানি দাঁড়ায় ১৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে।
অবশ্য এই পরিসংখ্যানে লুকিয়ে আছে অন্য এক বার্তা। ভারতের সঙ্গে কমছে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিলো এক হাজার ৪১৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। পরের বছর তা কমে দাঁড়ায় এক হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। আর ২০২৩-২৪-এ তা কমে দাঁড়ায় ৯২১ কোটি ডলারে।
এমন প্রেক্ষাপটে রফতানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি আরও নামিয়ে আনার তাগিদ ব্যবসায়ী নেতাদের। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মাতলুব আহমাদ বলেন,
ভারতের সঙ্গে দেশের আমদানি-রফতানি দুইই কমেছে। দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে রফতানি আরও বাড়াতে হবে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তুলা, জ্বালানি তেল, বিটুমিন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ, রেল ও এর ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি। অন্যদিকে, ভারতে রফতানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তৈরি পোশাক, সুতা ও অন্যান্য টেক্সটাইল পণ্য।