মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ১৪ তম ‘গিফট ফেয়ার’। প্রথম দিনেই বাংলাদেশি পণ্য বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশি পাট ও চামড়াজাত পণ্যের প্রতি বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দেখা গেছে।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক ট্রেড সেন্টারে ১৮ জুন মঙ্গলবার অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মেলার যাত্রা শুরু হয়। মেলা চলবে ২০ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করেন ম্যাট্রেডের ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এনকিক আবুবকর বিন ইউসুফ। প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে মেলা।
৩ দিনের ফেয়ারে বাংলাদেশ, লন্ডন, থাইওয়ান, হংকং, সিংগাপুর, ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও মালয়েশিয়াসহ মোট ৮ টি দেশ অংশ নেয়। ফেয়ারে মোট ২৮৩টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ৭টি।
মালয়েশিয়া ও এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য প্রচারের জন্য প্রবর্তন করা ‘গিফট ফেয়ার’ আয়োজনটি একটি বিজনেস-টু-বিজনেস ট্রেড-শো, যেখানে এশিয়া মহাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হয়। সে লক্ষ্য অংশ নেয় বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ২য় বারের মতো মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ থেকে আগত তরঙ্গ (পাটজাত পণ্য), মেসার্স সওদা ইন্টা: (পাটজাত পণ্য), কেএমআর ক্রাফ্ট, মাদিনা ননওভেন ফেব্রিক্স লিমিটেড, কিয়াম মেটাল ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ওমেন ইম্পাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন তাদের পণ্য মেলায় প্রদর্শন করছে।
পণ্যের প্রতি অনেকে দর্শনার্থী বিশেষ করে আমদানিকারকদের আগ্রহ দেখা গেছে। এ নিয়ে তারা প্যাভিলিয়নে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, শুরুর দিন থেকেই মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখে আমাদেরও উৎসাহও অনেক বেড়ে গেছে।
উদ্বোধনী দিনে ম্যাট্রেডের ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এনকিক আবুবকর বিন ইউসুফ (রপ্তানি ত্বরণ), মালয়েশিয়া উপহার এবং প্রিমিয়াম অ্যাসোসিয়েশন (এমজিপিএ) সভাপতি ইভান লু, ১৪ তম মালয়েশিয়া উপহার মেলার অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান ও এমজিপিএ-এর সহকারী মহাসচিব আলবার্ট চুংসহ মেলার আয়োজকরা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
এ সময় তারা বাংলাদেশি পণ্যের বিশেষ করে পাট ও চামড়াজাত সামগ্রীর প্রতি আগ্রহ দেখান। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব বাণিজ্যিক প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, মালয়েশিয়া গিফটস এন্ড প্রিমিয়াম এসোসিয়েশনের (এমজিপিএ) আয়োজনে এ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ও এশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হয়েছে।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের বাইরে অন্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।