কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে ব্যস্ত পোস্তাসহ ঢাকা-সাভারের বিভিন্ন আড়ত। না বুঝে বেশি দামে চামড়া কিনে কিছু ফরিয়া, মৌসুমী ব্যবসায়ী ফেঁসে গেলেও সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যেই কেনাবেচা চলছে বলে জানান, আড়তদার ও ট্যানারির প্রতিনিধিরা। নেই লবণ ও শ্রমিক সংকট। তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার কোথাও মেলেনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো অভিযোগ।
প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির বিকেলে পুরান ঢাকার পোস্তায় বাড়তে থাকতে কোরবানির পশুর চামড়া আসার পরিমাণ। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, রিকশা, ট্রাক, পিকআপে করে মূল্যবান এই সম্পদ নিয়ে আসেন মাদরাসা, এতিমখানার প্রতিনিধি, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
তবে, দাম নিয়ে হতাশার কথা জানান তারা। জানান, বড় আকারের প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭০০-৮৫০ টাকা দরে। মাঝারি চামড়ার দাম উঠেছে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। আর খাসি ও বকরির চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়।
অন্যদিকে, ভালো দামে কেনাবেচার কথা জানান আমিনবাজারের আড়ত মালিক, ট্যানারি প্রতিনিধি ও চামড়া বিক্রেতারা। তারা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে এবার সর্বোচ্চ ৫ টাকা বাড়িয়ে রাজধানীতে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, আর রাজধানীর বাইরে বাড়ানো হয় প্রতি বর্গফুটে ৭ টাকা।
কিন্তু হিসাব না বুঝে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনেছেন। কিন্তু তাদের ওই দামে আমরা চামরা কিনতে পারছি না। এতে তারা ধরা খেয়েছেন।
বিকেলের পর থেকে চামড়া শিল্পনগরীর মুখে বসা আড়তেও সমান তালে আসতে থাকে ট্রাক-পিকআপ ভর্তি চামড়া। সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যেই কেনাবেচা চলছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। আড়তে আড়তে বেচাকেনার মধ্যেই ট্রাক ভর্তি অনেক চামড়া সরাসরি চলে যায় সাভারের বিভিন্ন ট্যানারিতে।