দেশের বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরের ঋণ পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এখন অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে এমনিতেই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা। এ অবস্থায় যাতে আগামী দিনে আরো বড় ধরনের কোনো বিপর্যয়ে সম্মুখীন হতে না হয়, সে জন্য আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, গড়ে জিডিপির ৪০ শতাংশ ঋণ মানসম্মত।দেশে এই হার ৩৫ শতাংশ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক এই হার বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে আমাদের সক্ষমতার চেয়ে ঋণের বোঝা কম নয়। এই চাপ কতটা সামলে সামনে এগোনো যাবে, সে ব্যাপারে আগে থেকেই ভাবা উচিত।তা না হলে রক্ষার উপায় থাকবে না।
বর্তমানে ট্রেজারি বিলের সুদহার প্রায় ১৩ শতাংশ। আর সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের স্থিতি সাড়ে আট লাখ কোটি টাকার মতো। এই হিসাবে সরকারের আগামী অর্থবছরে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি দেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে।
এরপর বিদেশি ঋণের সুদ দিতে হবে। তা ছাড়া আগামী বছর ঘাটতি অর্থায়নের জন্য ঋণ করতে হবে। তবে পরিস্থিতি এমন হয়েছে, বৈদেশিক যে ঋণ সরকার পাওয়ার পরিকল্পনা করছে, বরং তার চেয়ে বেশি ব্যয় হবে সুদ পরিশোধে। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধের বিষয়টি ডলারের দামের ওপর নির্ভর করবে।