ই-কমার্সের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪০৭ কোটি টাকা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে মামলা জটিলতায় এখনো ১২৭ কোটি টাকা ফেরত দেয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
রোববার (১৯ মে) ভোক্তা অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ পরিশোধের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ভোক্তার ডিজি।
তিনি বলেন, মামলা জটিলতায় আটকে থাকা অর্থ ফেরত দিতে নতুন কমিটি করা হবে। এই টাকাগুলো কেন দেয়া যায়নি, কমিটি তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাবে।
ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ও আনন্দের বাজারের যেসব টাকা পাচার হয়ে গেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের মানিলন্ডারিং বিষয়ে সিআইডি কাজ করছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের টাকা গ্রাহকরা ফিরে পাবেন বলে জানান সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়ে এর সমাধান করা হবে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুযায়ী গেটওয়েতে থাকা ৫৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৭৫ শতাংশ টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করা হয়েছে জানিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, বাকি টাকা পরিশোধ কিভাবে হবে, নতুন অভিযোগ ও সিআইডিতে চলমান মামলাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।