আর্থিক হিসাবের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), পোর্টফোলিও বিনিয়োগ, অন্যান্য বিনিয়োগ ও রিজার্ভ অ্যাসেট বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক সহায়তা, সরকারের মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, ঋণের কিস্তি পরিশোধ, দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক ঋণ, ট্রেড ক্রেডিট বা রপ্তানির বিপরীতে প্রত্যাবাসিত অর্থ এবং অন্যান্য সম্পদ ও দায়।
ডলার-সংকট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে দেশে মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সার্বিকভাবে আমদানি কমেছে। ব্যাংকগুলো আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে। অন্যদিকে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে সার্বিকভাবে বাণিজ্যঘাটতি কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-মার্চ সময়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৫৭৯ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে ঘাটতি ছিল ৩২৯ কোটি ডলার।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বিদেশি ঋণছাড় কমে যাওয়া, সরকারের বিদেশি ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধি পাওয়া, কাঙ্ক্ষিত হারে বিনিয়োগ না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বাড়ছে। আবার যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তার বিপরীতে সব আয় সময়মতো দেশে আসছে না। রপ্তানি আয় সময়মতো দেশে না আসাকেও আর্থিক হিসাবে ঘাটতির বড় একটি কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, রপ্তানি করা পণ্যের আয় কেন সময়মতো আসছে না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা শেষ হলেই কিছুটা বিভ্রান্তি দূর হবে।
বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই-মার্চ সময়ে বাণিজ্যঘাটতি ছিল ৪৭৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৬৩ কোটি ডলার।