সরকারি ব্যাংকের মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণে লজ্জা পান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মুহিত বলেন, সমগ্র ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ মাত্র ১০ থেকে ১১ শতাংশ। সেখানে সরকারি ব্যাংকের ২৭ শতাংশ। এতে আমার লজ্জা লাগে।আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অবস্থা পর্যালোচনা : চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। অবলোপনের মাধ্যমে যেসব খেলাপি ঋণ ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা আদায়ের দায়িত্ব ব্যাংকের। তিনি বলেন, ব্যাংকের সব কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হতে হবে। কোনো কেরানি ব্যাংকে দরকার নেই। কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বেসিক ব্যাংকে ভয়াবহ জালিয়াতি হয়েছে। একজন চেয়ারম্যান বোর্ড মেমো ছাড়াই ঋণ দিয়েছেন। অ্যাকাউন্ট খোলার দুদিনের মাথায় তার নামে ঋণ পাশ করিয়ে টাকা দিয়েছেন। অন্য ব্যাংকের দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে তার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। প্রমাণসহ সব কাগজ দুদকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি স্থায়ী কমিটির কোনো মিটিংয়ে দুদকের কর্মকর্তাদের ডাকলেও তারা আসেননি। বেসিক ব্যাংকে প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি হয়েছে। এখনও মাত্র ৭১ জন গ্রাহকের কাছে ২৯ হাজার কোটি টাকা আটকা রয়েছে।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে দুর্নীতির তুলনায় অপচয় বেশি হয়েছে। ব্যক্তিগত অপচয়, প্রাতিষ্ঠানিকি অপচয় ও ঐতিহ্যগত অপচয় হয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৮ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি