সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (২৫ থেকে ২৮ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ৪.২০ শতাংশের বেশি। ডিএসইর সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.১৫ পয়েন্ট। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১১.৬৪ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.৫১ পয়েন্ট বা ৪.২০ শতাংশ কমেছে।
এর আগের সপ্তাহের (১৮ থেকে ২১ মার্চ) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১২.২৪ পয়েন্ট। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১২.১৫ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০৯ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমেছিল। খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে ৬.৪৬ পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১০.৫৬ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতে ১২.৬৩ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১২.৭৩ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩.৮৫ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৫.০৮ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৬.৪৩ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ১৭.৬৩ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ২০.৯২ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২১.৬৬ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ২২.৩৬ পয়েন্ট, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৪.১৭ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৫.০১ পয়েন্ট, ট্যনারি খাতে ২৭.৪৬ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ৩৩.৭৯ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৬.১৫ পয়েন্ট, সিরামিক খাতে ৩৬.৮৭ পয়েন্ট ও বিবিধ খাতে ৪৩.০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে মনে করে বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১১.৬৪ পয়েন্টে।