সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেল বা বৈধ পথে প্রবাসীরা প্রায় ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ২১৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
আজ রোববার (০৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে ২১০ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে প্রবাসীরা এক হাজার ৫০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স কখনও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি। মূলত ফেব্রুয়ারি মাসে দিন সংখ্যা কম হওয়ায় রেমিট্যান্স কম থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলারের ভালো দর পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৫৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। এর আগে একক কোনো ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২১ সালে ১৭৮ কোটি ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার। দেশের ইতিহাসে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার।
ব্যাংকাররা জানান, নির্বাচনের পর হুন্ডি চাহিদা অনেক কমেছে। আবার আমদানি নিয়ন্ত্রণের ধারা অব্যাহত আছে। তবে ব্যাংকগুলো এখনও ১২১ থেকে ১২২ টাকা দরে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিট্যান্স কিনছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় দর নির্ধারিত রয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এর মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আসা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ডলারের বাজার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ডলার সোয়াপসহ বিভিন্ন উপায়ে রিজার্ভ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। কয়েকদিন আগে যা ১৯ বিলিয়নের ঘরে ছিল। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিক্রিসহ বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমতে থাকে।