বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন হয়েছে। এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৫০ ডলার কমেছে। বিশ্ববাজারে এমন দাম কমলেও আগামী সোমবারের (১৩ নভেম্বর) আগে দেশের বাজার সোনার দাম কমার সম্ভাবনা কম।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে পাকা সোনার দাম কমলে সোমবার দেশের বাজারে দামি এই ধাতুটির দাম কমানোর ঘোষণা আসতে পারে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৯৯২ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে এক হাজার ৯৩৮ ডলারে চলে এসেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে ৫৪ ডলার।
এদিকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর ঘোষণা দেয়। সোমবার বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে কমিটি। সর্বশেষে গত ৬ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সে সময় সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ৯০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণেরদাম এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা। বর্তমানে দেশের বাজারে এই দামেই বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ।