ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ, নারীদের জন্য প্রসবপূর্ব সেবা, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) এই অর্থ প্রদান করছে। এই ঋণের মেয়াদ হবে ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ ৩০ বছর। গতকাল (৩০ আগস্ট) এই ঋণ অনুমোদন করা হয়। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। কিন্তু শহরাঞ্চলে সীমিত জনস্বাস্থ্য পরিষেবা রয়েছে। তাই দরিদ্র মানুষ এবং বস্তিবাসীরা প্রায়ই ব্যয়বহুল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হন। উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন ও দ্রুত নগরায়নের ফলে ডেঙ্গু, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি এবং সাভার ও তারাব পৌরসভা এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর একটি বলয় সৃষ্টি করবে। শহর এলাকার নাগরিকদের স্বাস্থ্য সমস্যা যেসব কারণে হয়, সেগুলো কমানোর চেষ্টা করাই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
এতেও বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ও নির্বাচিত বিদ্যমান জনস্বাস্থ্য সুবিধা সংস্কার করা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করা হবে। প্রকল্পটি নারীদের প্রসবপূর্ব পরিষেবা আরও উন্নত করবে। আড়াই লাখেরও বেশি নারী গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে চারটি চেকআপ গ্রহণের সুযোগ পাবেন এর আওতায়। এছাড়া হাইপারটেনশন স্ক্রিনিং এবং প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কের ফলোআপ চিকিৎসা দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং প্রতিরোধমূলক পরিষেবার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অসুস্থতা প্রতিরোধ এবং মানব স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণের প্রভাব কমাতে কাজ করবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশার প্রজননস্থল পরিষ্কারের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।