বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যেসব পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দাম কমানোর চেষ্টা করছি। সয়াবিন, পাম তেলের দাম নিম্নমুখী। আরও কিছু পণ্যের দাম নিম্নমুখী। এগুলোর দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক সম্পর্কের আগামী ৫০ বছর শিল্পায়নের আধুনিকায়ন’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম দেশীয় বাজারের সঙ্গে মূল্য যাচাই করে ট্যারিফ কমিশন। তারা যে দাম নির্ধারণের সুপারিশ করে, সেভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। কিছুদিন আগে তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব পণ্যের দাম কমে যায় ট্যারিফ কমিশন যেগুলো যাচাই করে দাম কমানোর সুপারিশ করে, আমরা সেগুলোর দাম কমাই। তবে দেশীয় অনেক পণ্যের দাম, যেসন- কাঁচামরিচ, পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল, সেটা লোকাল ইস্যু।
জাপান প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে তারা বিনিয়োগ করতে চায়। আগামীতে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও উন্নয়নের পার্টনার হবে। অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব (ইপিআই) চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে দুই দেশে আমদানি-রপ্তানি কীভাবে আরও ভালো করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া জাপান বাংলাদেশ থেকে টেকনিক্যাল কাজ জানা আরও লোকজন নিতে চায়, যারা সেখানে কাজ করে বাংলাদেশ ফিরে আসবে। চাইলে বাংলাদেশের জাপানিজ কোম্পানিতে তারা কাজ করতে পারবে।
প্যান এক্সটার্নাল ট্রেড অরগানাইজেশন (জেট্রো) এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) আয়োজিত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেট্রো বাংলাদেশ কান্ট্রি জাপানের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইয়াদি আন্দ্রো, বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।