জ্বালানি তেলের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৬০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সৌদি যুবরাজের বক্তব্যের পরই তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। ওয়েলপ্রাইস ডটকমে দেখা গেছে, গতকাল প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল তেলের দাম ৬০ দশমিক ১৩ ডলার। সৌদি গেজেটের এক খবরে বলা হয়েছে, নানা চ্যালেঞ্জের পরও জ্বালানি তেলের বাজারে ভারসাম্য নিয়ে আসা একটি সফলতা। এটি সম্ভব হয়েছে তেল উত্তোলনের বিষয়ে সৌদি যুবরাজের প্রস্তাব ও পদক্ষেপের কারণে।

সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, সৌদি আরব পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকভুক্ত ও ওপেকের বাইরের সকল রাষ্ট্রের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। আগামী মাসে ভিয়েনায় বিশ্বের বৃহত্ তেল রপ্তানিকারকদেশগুলোর নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই বৈঠকে তেলের উত্পাদন কমানোর চুক্তি সম্প্রসারণের বিষয়ে কথা হতে পারে। কারণ কিছুদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুবরাজকে তেল উত্পাদন কম রাখার চুক্তিটির মেয়াদ আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন। সেই কারণে তিনিও ওই চুক্তি ২০১৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করতে চান।

যুবরাজ আরও বলেন, তেলের দামে ভারসাম্য নিয়ে আসতে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত। সম্প্রতি তেলের বাজার ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া প্রসঙ্গে যুবরাজ বলেন, সকল বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের অত্যধিক চাহিদা খনিজ তেলের উত্পাদনকে সমতার দিকে নিয়ে গেছে।

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় সৌদি আরবের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলা ও আর্জেন্টিনাসহ বেশ কয়েকটি তেল উত্পাদনকারী দেশের অর্থনীতিও প্রভাবিত হয়েছে। তাই এ দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমানোর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যা তেলের বাজারে প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে সৌদি আরবের বৃহত্তম তেল কোম্পানি আরামকো বাজারে শেয়ার ছেড়ে আরও মূলধন সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। আর সেটা হলে সৌদি তেল ও জ্বালানিখাতে নতুন গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি