প্রবাসীরা রমজান মাসে পরিবার-পরিজনের কথা বিবেচনা করে মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০১ কোটি ডলার। যা গত সাত মাসের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের আগস্টে ২০৩ কোটি (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি এসেছে সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে।
আজ রবিবার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। গত বছরের (২০২২ সালের) মার্চের তুলনায় এটা ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
গত বছরের মার্চে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। মার্চের রেমিট্যান্স আগের মাসের চেয়ে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।
সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭৩ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
দেশে রেমিট্যান্স বেশি আসার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশে ডলার সংকট রয়েছে। আমদানি যত হয় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় করেই সেই চাহিদা মেটাতে হয়। তাই দেশে বেশি করে বৈধপথে রেমিট্যান্স আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান, সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল, সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়াসহ আরও কিছু সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশে প্রবাসীরা খারাপ অবস্থায় থাকার পরও ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত) ৯ মাসে দেশে মোট রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের ছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার।
এ সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ শতাংশ বেশি।