পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম রপ্তানি বহুমুখীকরণে স্বর্ণ রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের মতোই বন্ডেড ওয়্যার হাউসসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাজুস ফেয়ারের সমাপনী দিনে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক সেমিনারে এই আহ্বান জানান।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা না থাকলে কী অবস্থা হতো তা আমরা চিন্তা করলেই বুঝতে পারি। দেশের বাইরে রপ্তানির ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়ায় পোশাক শিল্প এগিয়ে গেছে।
এ সুবিধা পেলে স্বর্ণ ব্যবসাও অনেকদুর এগিয়ে যাবে। ’
তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্ব বাজারে স্বর্ণ ব্যবসার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা আমাদের ধরতে হবে। আমরা রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে রপ্তানিতে বর্ডার সুবিধা দেওয়া দরকার। লোকাল মার্কেটে হয়তো এ সুবিধা পাবো না, কিন্তু আন্তর্জাতিক মার্কেটে এটা পেতে পারি। ’
স্বর্ণ শিল্পের ইতিহাস তুলে ধরে অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ‘স্বর্ণ সাংঘাতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। কিন্তু আমরা গুরুত্ব দিয়ে এটা উপলব্ধি করতে পারিনি। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এটা একটা আর্ট। রিজার্ভ মানি সার্কুলেশনে গোল্ডের বড় অবদান রাখে। বিভিন্ন দেশ গুরুত্ব বিবেচনায় অনেক কিছুর পরও গোল্ড রিজার্ভ করে। ’
অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে অন্তত আগামী ১০ বছর স্বর্ণ ও হীরা আমদানিতে শূন্য শুল্ক সুবিধা দেওয়া প্রযোজন। ’
মূল প্রবন্ধে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘স্বর্ণ শিল্পের উন্নয়নে সরকারের নীতি সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নকশায় দক্ষতা বাড়াতে হবে। ’ তিনি এ খাতে বড় ব্যবসায়ীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এদিকে, শেষ দিনে ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমে উঠেছে বাজুস ফেয়ার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।