সারাদেশে ‘জমজমের পানি’ বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন। তবে ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে ইসলামে ধর্মীয় ব্যাখ্যা জানার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ‘পবিত্র জমজম কূপের পানি’ খোলা বাজারে বিক্রয় সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এসব বলেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘যেসব ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জমজমের পানি বিক্রি করা হচ্ছে তাদের পেজ নজরদারিতে নেওয়া হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে এসব পেজ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এর আগে রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে দেখা যায়, অনেক ব্যবসায়ী জমজম কূপের এই পবিত্র পানির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসময় তাদের কাছে এই পানির উৎস জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, হজ করে ফেরার পথে অনেকে জমজম কুপের পানি নিয়ে আসেন। সেই পানি তাদের কাছে বিক্রি করে।’
কত টাকায় বিক্রি করেন এমন প্রশ্নের জবাবে এক ব্যবসায়ী জানান, পাঁচ লিটারের এক বোতল পানি তিনি কিনেছেন ২ হাজার ২০০ টাকায়, বিক্রি করেন ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
অভিযানকালে ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘একজন হাজি ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে হজ করতে পারলে সে পবিত্র জমজমের পানি এনে মাত্র ২২০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করবে এটা কি আপনারা বিশ্বাস করেন?’ জবাবে ব্যবসায়ী বলেন, ‘পানি বিক্রি করতে এসে তারা বলেন, দুই বোতল পানি নিয়ে এসেছি এক বোতল পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য রেখেছি। আরেক বোতল কী করবো? তাই বিক্রি করে দিচ্ছি।’