আন্তর্জাতিক বাজারে মাসের ব্যবধানে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম কমেছে প্রায় ১০০ ডলার। দাম কমলে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক অনেক বেশি লাভবান হন। যার কারণে তারা ভোক্তার চেয়ে বেশি সুরক্ষা পাচ্ছেন।
যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম ও সরবরাহ পুরোপুরি কোম্পানির হাতে নির্ভর। দাম কমানোর ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো গড়িমসি করে থাকে। ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলছেন, বছরের ব্যবধানে ডলারে অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৫ শতাংশের বেশি। এজন্য তেলের দাম কমার খুব একটা সুফল মিলছে না।
এদিকে, বাজারে এখনও চিনি বিক্রি হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দরে। আর সয়াবিন, খোলা ও পাম তেল বিক্রি হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত উচ্চ মূল্যেই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত তদারকি না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘদিন।
গত মার্চে অপরিশোধিত সয়াবিনের দাম ওঠে ১ হাজার ৯৫৬ ডলার। আর বর্তমানে দাম নেমে এসেছে ১ হাজার ২০০ ডলারে। আর অপরিশোধিত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৪১ ডলার।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বললেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়েছে। সেক্ষেত্রে যে পরিমাণ তেলের দাম কমেছে তাতে খুব একটা প্রভাব পড়ছে না। তাই গত বছরের তুলনায় তেলের দাম কমছে না, ডলারের দাম বাড়ায়। সরবরাহ চেইন ও উৎপাদনে কেউ যেন কারসাজি করতে না পারে, আমরা সেজন্য মনিটরিং করছি।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, গত এক বছরে পরিশোধিত চিনির দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ, অপরিশোধিত চিনির দাম সাড়ে ৬ শতাংশ। অপরিশোধিত সয়াবিনের দাম কমেছে সাড়ে ৮ এবং অপরিশোধিত পাম তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ।