গত সাত দিনে চাল-ডাল ময়দাসহ কমেছে নয় পণ্যের দাম

রাজধানীর খুচরা বাজারে সাত দিনের ব্যবধানে নয় পণ্যের দাম কমেছে। পণ্যগুলো হলো-সব ধরনের চাল, মশুর ডাল, ময়দা, পেঁয়াজ, আমদানি করা আদা, ছোলা, তেজপাতা, জিরা ও দারুচিনি। তবে এ সময়ের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক খুচরা বাজারের পণ্যমূল্য তালিকার সর্বশেষ (রোববার) প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ প্রতিবেদন রাজধানীর কাওরান বাজার, শাহজাহানপুর, মালিবাগ কাঁচাবাজার, মহাখালী বাজারসহ মোট ১২টি খুচরা বাজারের পণ্যমূল্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে-সাত দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সরু চালের দাম কমেছে শূন্য দমশিক ৭৩ শতাংশ, মাঝারি আকারের চালের দাম কমেছে ২.৬১ শতাংশ, মোটা জাতের চালের দাম কমেছে ১.৯৪ শতাংশ। পাশাপাশি প্রতি কেজি বড় দানার মশুর ডালের দাম কমেছে ২.৩৮ শতাংশ ও মাঝারি দানার মশুর ডালের দাম কমেছে ৩.৯২ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতি কেজি খোলা ময়দার দাম কমেছে ২ শতাংশ। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ, আমদানি করা আদা ৭.৬৯ শতাংশ, ছোলা ২.৮৬ শতাংশ, তেজপাতা ৩.২৩ শতাংশ, জিরা ১.৮৭ ও দারুচিনির দাম ১.০৬ শতাংশ কমেছে।

সরকারি এ সংস্থার মুখপাত্র হুমায়ুন কবির দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, টিসিবির পক্ষ থেকে নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রতিদিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে পণ্যের দাম নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেখানে সপ্তাহ, মাস ও বছরের ব্যবধানে পণ্যের দাম কমা বা বাড়ার চিত্র দেখানো হয়। সে মোতাবেক এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

টিসিবির তথ্য মতে, প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে সর্বোচ্চ ৭৮ টাকা, যা সাত দিন আগে ৬২-৭৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি মাঝারি আকারের চাল মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৫২-৬০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬-৫৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৪৮-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি মাঝারি আকারের মশুর ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা সাত দিন আগে ১৩০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি খোলা ময়দার দাম তিন টাকা কমে ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া আমদানি করা আদা বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা, সাত দিন আগে ১৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি ছোলা পাঁচ টাকা কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে তেজপাতা ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা, যা আগে ৫৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দারুচিনি ২০ টাকা কমে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Scroll to Top