আরেকধাপ বাড়ল রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের মূল্য। ১২ কেজির নতুন মূল্য ১২৯৭ টাকা। যা পূর্বের মাসের তুলনায় ৪৬ টাকা বেশি। গতমাসে এই দর ছিল ১২৫১ টাকা। অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৬০.৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ রোববার (৪ ডিসেম্বর ) ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। অন্যদের মধ্যে অংশ নেন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, বিইআরসির সচিবখলিলুর রহমান খান। নতুন দর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
টানা কয়েকমাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মে মাস থেকে কমতে থাকে এলপি গ্যাসের দাম। অক্টোবর মাস থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে, পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়তি থাকায় বাড়ছে এলপি গ্যাসের দাম। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাড়ন্ত এলপি গ্যাসের দাম এপ্রিলে ( ১২ কেজি) গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৩৯ টাকায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোর এলপিজির সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় এ বছর। এপ্রিল মাসে (সৌদি আরামকো) সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রপেন ৯৪০ বিউটেন ৯৬০ডলার। ২০১৪ সালের পর আর কখনও এতো বেশি দরে বেচাকেনা হয়নি বাংলাদেশে রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্যটি।
চলতি মাসে প্রোপেন ও বিউটেন ৬৫০ ডলারে বেচাকেনা হচ্ছে। প্রোপেন বিউটেনের অনুপাত ৩৫ ও ৬৫ গড় প্রতি টনের দাম পড়ছে ৬৫০ ডলারে, যা গত মাসে ছিল ৬১০ ডলার।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য ওঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
তবে বিইআরসির ঘোষিত দর বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন। এ বিষয়ে বিইআরসির বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।