মালয়েশিয়া শ্রমিক হিসেবে যেতে একজন বাংলাদেশির খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। আজ বুধবার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়া কর্মী যাওয়ার খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে কর্মীদের খরচ ধরা হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। বুধবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তা দিয়ে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ১৩ জুলাই বৈঠকে কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে চূড়ান্ত আলাপ হবে।
উল্লেখ্য, তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ থেকে সব পেশার কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। এ ঘোষণার নয় দিনের মাথায় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। সমঝোতা স্মারকের শর্ত মোতাবেক কর্মীদের বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীরা বহন করবে। কিন্তু কর্মী পাঠানো শুরুর আগেই নতুন শর্তে আসে কুয়ালামপুরের পক্ষ থেকে।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ জুন মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি)। জেলা কর্মসংস্থান অফিস কিংবা অনলাইনে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে এই নিবন্ধন শুরু হয়। মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন অনুযায়ী বিএমইটি ডাটাবেজে নিবন্ধিত কর্মীর তালিকা থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে কর্মী নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। ওই সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতি এক বিশেষ সভায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।