ফেনী শহরের মহিপাল পাইকারি ফলের আড়তে দুই শতাধিক দোকান থেকে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশি-বিদেশি ফল চলে যায়। দেশীয় ফলের দাম না বাড়লেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বেড়েছে খেজুরসহ আমদানি করা সব ধরনের বিদেশি ফলের।
প্রতিদিন ভোর থেকেই ফেনীর মহিপালের পাইকারি ফলের আড়তের দুই শতাধিক দোকানে শুরু হয় জমজমাট বেচাকেনা। আড়তদাররা দেশীয় ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন।
এখান থেকে ফল কিনে জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়ে যান পাইকাররা। পাইকাররা বলেন, গত মৌসুমের থেকে চলতি মৌসুমে ফলের দাম কিছুটা বেশি।
পাইকারদের অভিযোগ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে সব ধরনের ফলের দাম বাডিয়েছেন আড়তদাররা। তবে, শ্রমিকদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্য বাড়লেও বাড়েনি শ্রমের মূল্য। পৌরসভার মধ্যে মহাসড়কের পাশে সরকারি কোনো জায়গায় আড়তটি স্থানান্তর করার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী নেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২০ কেজি কার্টনের আপেল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। ১৫ কেজি কার্টনের মিসরীয় মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। ২৮ কেজি কার্টনের কমলা ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা, ২০ কেজি কার্টনের আনার ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, সাদা আঙুর কার্টনপ্রতি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, কালো আঙুর ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পেয়ারা এবং বড়ই প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।