একের পর এক বেড়েই চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। চাল, ডাল, তেলের পর এবার বেড়েছে আলুর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে কেজি প্রতি সাদা আলুর দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর লাল আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে, আলুর উপরও এর প্রভাব পড়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম কিনে আনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আড়তদাররা বলছেন, ক্ষেত থেকে আলু তোলার সময়ে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আলু পচে গেছে। ফলে চাহিদা অনুসারে সরবরাহ কমেছে। এতে আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীতে প্রকারভেদে সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা কেজিতে। আর লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে। এর আগের সপ্তাহে সাদা আলু বিক্রি হয়েছিল ১৫ টাকা কেজিতে। আর লাল আলু বিক্রি হয়েছিল ২০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ সাদা আলু কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর লাল আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। রমজানের আগেই আলুর দাম আরও বাড়ার শঙ্কা ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের।
মালিবাগ বাজারের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আলু আর গাজরের দামটা একটু কম ছিল। এখন এগুলোর দামও বাড়ছে। তিনি বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা কম দামে আলু কিনে নিয়েছে, এখন মাঠে আর আলু নেই। এই সুযোগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আলুর দাম বাড়াচ্ছে।
খুচরা আলু ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, এতোদিন পানির দামে আলু বিক্রি করেছি। গত এক সপ্তাহ ধরে আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন দিন যত যাবে, আলু দাম ততই বাড়বে। কারণ শীতকালীন সবজি এখন শেষ। আলু ছাড়া নতুন তেমন কোনো সবজি বাজারে নেই। নতুন সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত আলুর উপর চাপ পড়বে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী কবির বলেন, মাঠ থেকে আলু ওঠানোর সময় বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে অনেক আলু পচে গেছে। শুধু তাই নয়, আলু ভেজা থাকার কারণে গুদামজাত করাও সম্ভব হয়নি। একারণে আলু দাম কিছুটা বাড়তি। সামনের দিনে আরও বাড়তে পারে বলেন জানান তিনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশে আলুর চাহিদা বছরে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন। ২০২১ সালে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টন। এ বছর ৪ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টর জমি থেকে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৫১ হাজার টন। ২০২০ সালে দেশে ৯৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়।