গত এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর অবশেষে গতকাল রোববার (৬ মার্চ) কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। প্রকার ভেদে প্রতিটন পেঁয়াজের দাম কমেছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। পেঁয়াজের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারদের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দরে গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রতিকেজি নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪০ টাকায়, যা আজ বিক্রি হয়েছে ৩৭ টাকায়। ইন্দ্রো জাতের পেঁয়াজ ৩ টাকা কমে ৩২ টাকা, নগর কেজিতে ৪ টাকা কমে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, সাউথ ৪ টাকা কমে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর বারোটা বাজার সাথে সাথে একে একে ভারত থেকে পণ্যবাহী পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করে। ট্রাকগুলো বন্দর অভ্যন্তরে সারিবদ্ধ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটা ট্রাকের কাছে পাইকার ব্যস্ত পেঁয়াজ কিনতে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে কথা হয় এক প্রতিবেদকের। পাইকাররা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার। তবে আজকে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজের বাজারে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে দুই থেকে তিন টাকা। প্রতিটনে কমেছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। দামটা যদি এভাবে কমে তাহলে তো ব্যবসা করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যায়।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলেন, পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণে দামটা কমেছে। তবে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, পেঁয়াজের ইম্পোর্ট পার্মিট (আইপির) মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। যে কারণে ভারতে পেঁয়াজের লোডিং পর্যাপ্ত আছে এবং আমদানি বেশি হচ্ছে। শুধু হিলি স্থলবন্দর নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, আসছে রমজান। সে সময় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় দামও বৃদ্ধি পায়। সরকার যদি রমজানের আগে পেঁয়াজের আইপির অনুমতি দেয় তাহলে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হবে। রমজানে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম নুরুল আলম খান বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১২৮ ভারতীয় ট্রাকে ৩ হাজার ৬১৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়। চলতি সপ্তাহে শনি ও রোববার দুই কর্ম দিবসে ভারতীয় ৬৯ ট্রাকে ১ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।