দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের বাজার দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অস্থিতিশীল থাকার পর স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা। আগে পাইকারিতে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩০-৩২ টাকায় নেমেছে। পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে কিনতে আসা পাইকাররা। স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝেও।
হিলি স্থলবন্দরে একজন পাইকার বলেন, কয়েকদিন আগে হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনেছি। সে সময় দাম বেশি ছিল। প্রতি কেজি ৩৮-৪০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এখন দাম অনেক কমে গেছে। ভালো মানের পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। আর কিছুটা খারাপ মানের পেঁয়াজ ২০-২২ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, দুর্গা পূজার আগে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ে। এ সময় দাম ৪৮ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। একইভাবে ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সেখানেও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে বাজার। অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় দেশের বাজারেও। চরম বিপাকে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। এমন অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যদিকে পূজার বন্ধের পর ভারত থেকে বাড়তি পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় বাড়ে সরবরাহ। কমতে শুরু করে দাম। এছাড়া ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির ফলে দেশের বাজারে ভালো সরবরাহ রয়েছে।
অন্য একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, বন্দরে পেঁয়াজ পাইকারিতে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও ঢাকায় এখনো দ্বিগুণ দামে অর্থাৎ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এটি ঢাকার ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি জোগান কমে গেলেই দাম বাড়িয়ে দেন। এতে প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে। যে পেঁয়াজ হিলিতে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সে পেঁয়াজ ঢাকায় ৪০ টাকার ওপরে বিক্রি হলে বুঝতে হবে এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। গড়ে প্রতিদিন বন্দর দিয়ে ১০-১৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। শনিবার বন্দর দিয়ে ১৩টি ট্রাকে ৩৫৮ টন আমদানি হয়েছে। গতকালও আমদানি অব্যাহত ছিল। পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল পণ্য। তাই দ্রুত খালাস করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।