দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে বন্যার কারণে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। বেড়েছে পণ্যটির বুকিং রেট। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও।
ব্যবসায়ীরা দেশের সর্ববৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। সে জায়গায় এখন আমদানি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ মেট্রিক টন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমে গেছে।
তারা বলেন, সংকট সৃষ্টি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। ভারতের বাজারে দাম বেড়েছে। তাই এর প্রভাব এখানেও পড়ছে। বর্ডার সাইট থেকে যারা ক্রয় করেন, ওপরও প্রভাবটা বেশি হয়ে গেছে। বুকিং রেট গত সপ্তাহে ছিল ৩৯-৪০ টাকা। এখন হয়েছে ৪৫-৪৬ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে। এখন আমরা বিক্রি করছি ৫০ টাকা। বর্ডারে বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে ভারতীয় ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা পর্যন্ত ।
বিক্রেতারা বলছেন, গতকাল পেঁয়াজের দাম ছিল ৪২, ৪৪ ও ৪৫ টাকা। কিন্তু আজ আবার হয়ে গেছে ৪৮, ৫০ ও ৫২ টাকা। পণ্যও কম আসছে, ক্রেতাও কম। এছাড়া আদার দামও বাড়তি। প্রতিকেজি আদার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।