বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী শুরু হলে গাড়ি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতারা সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ সংকটে পড়েন। বিশেষ করে আমদানি-রফতানি সংক্রমণ প্রতিরোধে বন্ধ থাকায় এ সংকট তীব্র হয়। এমনও হয়েছে যে বিলাসবহুল গাড়ি তৈরির সব প্রস্তুতি থাকার পরও কেবল চিপ সংকটে তা শেষ পর্যন্ত তৈরি করা যায়নি। চিপ সংকটের কারণে দাম বেড়েছে ইলেকট্রনিক পণ্যেরও। এমন পরিস্থিতিতে চিপ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাই এ-সংক্রান্ত নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে তারা।
পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, আমরা একটি নতুন ইউরোপিয়ান চিপ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এর লক্ষ্য হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো মিলে একটি অত্যাধুনিক চিপ ইকোসিস্টেম তৈরি করা। যার মধ্যে থাকবে স্থানীয়ভাবে চিপ উৎপাদনের ব্যবস্থাও। যার মাধ্যমে ইইউর বাজারে চিপ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
কভিড-১৯ মহামারীর ঝুঁকি থেকে পুনরুদ্ধারের কর্মযজ্ঞে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবচেয়ে বড় যে সমস্যার মুখে পড়ে সেটি হলো চিপ সংকট। সে কারণেই এ সমস্যার সমাধান করতে মরিয়া তারা। তবে চিপ উৎপাদনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামনে কিছু বাধাও রয়েছে। বিশেষ করে চিপ তৈরিতে ব্যবহূত বিশেষ ধরনের ধাতু, যা কেবল চীনসহ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, সেটির সহজলভ্যতাও নিশ্চিত করতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। আবার যে প্রতিষ্ঠানগুলো চিপ উৎপাদন করবে, তাদেরও বিনিয়োগে যথাযথ আগ্রহ থাকতে হবে। তারা যদি ঠিকমতো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারে, তাহলে ব্যবসা লাভজনক হবে না। তাই সব দিক বিবেচনা করেই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিজেদের সংকট মোকাবেলায় মাঠে নামতে হবে।