সারাদেশের ন্যায় আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে করোনার বিস্তার রোধে কঠোর লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনের প্রভাব পড়েছে আম চাষিদের লক্ষ্য পূরণে। বাজারে প্রচুর আম আছে কিন্তু নেই ক্রেতা। তাই হুট করেই আমের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।
আজ শুক্রবার (২ জুলাই) দেশের বৃহত্তম আম বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। স্থানীয় এক আম ব্যবসায়ী জানান, সকাল ৭টায় এক ভ্যান লক্ষ্মণভোগ আম নিয়ে কানসাট বাজারে এসেছিলেন তিনি। দুপুর ১২টা বাজলেও বিক্রি করতে পারেননি।
কেউ কী দাম বলছেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দাম বলছেন- তবে অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম । যে আম গত বছর বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৮০০ টাকা মণ দরে। আজ সেই আমের দাম বলছেন মাত্র ৫০০ টাকা মণ।
অন্য এক আম ব্যবসায়ী বলেন, বোলিয়া থেকে ২০ ক্যারেট ফজলি জাতের আম নিয়ে এসেছি ঘণ্টা দুয়েক আগে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতা আসেনি। এবার আমার গাছে ঝুলছে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৫০০ মণ আম। কীভাবে এ আম বিক্রি করব চিন্তায় আছি।
আজ বাজারে কত করে ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ শুক্রবার বাজারে আম আছে ক্রেতা নেই, তাই ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা মণ দরে। তবুও আমের মণ ৫০ কেজিতে। যা হিসেব করলে প্রতি কেজি ১০ টাকা ৫০ পয়সা পড়ে।
যদিও বিধিনিষেধ শুরুর আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, আম ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। তারপরও আজ কানসাট আম বাজারটি ক্রেতা শূন্য দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর কৃষি বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিগত বছরগুলোতে শুধু কানসাট বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার আম বেচা-কেনা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আম বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড় কোটি টাকার।