গত বছরের মতো চলতি বছরও দেশের মানুষ কোরবানির ঈদ পালন করবেন করোনাভাইরাসকে সাথে নিয়ে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা তৈরি হচ্ছেন তাদের গরু-ছাগল বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খামারিরা প্রস্তুত তাদের পোষ্যকে হাটে তুলতে। করোনার সময় যদিও হাট না হয় তবে বিক্রি চলবে \”অনলাইন\” মাধ্যমে। এই \”অনলাইন\” মাধ্যমে বিক্রির তালিকায় রয়েছে ‘শাকিব খান’ নামে এই ষাঁড়।
শাকিব খান লম্বায় ৭ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি, ওজন ৩১ মণ, গায়ের রং সাদা; আছে কয়েকটি কালো ছোপ। বয়স দুই বছর সাত মাস। জোবায়ের ইসলাম নামে এক তরুণ উদ্যোক্তা শাকিব খানকে নিজের আস্তাবলে পালছেন। বাসাইলের মিরিকপুর গ্রামে লালন পালন হয় শাকিবের। উদ্যোক্তা জোবায়ের জানান, তার খামারেই দুই বছর সাত মাস আগে শাকিবের জন্ম হয়। আদর করেই ষাঁড়টির নাম রাখা হয় শাকিব খান। মোটা তাজাকরণের জন্য অন্য কোনো খাবার নয়, দেশিয় খাবারই দেওয়া হয়েছে ষাঁড়টিকে। পশুটির শরীরে ব্যবহার করা হয়নি কোনো ক্ষতিকর ওষুধ।
জোবায়ের শাকিব খানের জন্য হাঁকছেন ১৩ লাখ টাকা। আকর্ষণীয় নাম-দাম ও আকারের কারণে শাকিবকে দেখতে প্রতিদিনই উৎসুক মানুষজন জোবায়েরের খামারে ভিড় জমান। জোবায়ের জানান, তার খামারে ২৫টি ষাঁড় ও গাভী রয়েছে। ছয়টি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
শাকিব খান নামক ষাঁড়টি তাদের মধ্যে একটি। ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির। জোবায়ের বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ মেনে ষাঁড়টিকে লালন পালন করা হয়েছে। কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই শুধু দেশিয় খাবার খাইয়েই এটিকে বড় করেছি। এখন ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ৩১ মণ (১ টনের বেশি)। দাম ১৩ লাখ টাকা চাচ্ছি, তবে বাজারের অবস্থা বুঝে আলোচনা সাপেক্ষে দাম নির্ধারণ হতে পারে।