গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে সব ধরনের চাল বাড়তি দামে বিক্রির পাশাপাশি ক্রমাগত হারে ঊর্দ্ধমুখী ছিল সব ধরণের পণ্যের দাম। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগতহারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ৬ থেকে ৭ টাকা বাড়ার পর পেঁয়াজের দাম এখন দ্বিগুণ হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ আগে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি কাঁচামরিচের দামও। এছাড়া বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা; আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, সপ্তাহের ব্যবধানে একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা ও পারিজা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৭ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে (ভালো মানের) ৬০ টাকা দরে, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৬ টাকা, বিআর২৮ ৫৫ টাকা, ভারতীয় বিআর-২৮ ৫০ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল (নরমাল) ৫৫, হাস্কি ৫৫, পাইজাম চাল ৫০ টাকা, বাসমতি ৬৫-৭০ টাকা, কাটারিভোগ ৭০-৭৫ টাকা এবং পোলাও চাল ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এই দামের সঙ্গে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা পর্যালোচনা করে কিছুটা পার্থক্য দেখা গেছে। টিসিবির মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, ভালো মানের মিনিকেট কেজিপ্রতি ৬০-৬৬ টাকা, নরমাল মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, ভালো মানের বিআর২৮ কেজিপ্রতি ৪৮-৫৫ টাকা, মোট স্বর্ণা চাল ৪৪-৪৮ টাকা।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কালোবেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা ও সাদাবেগুন ৮০ টাকা দরে। এছাড়া শিম ১০০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ১২০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, করলা ৬৫ টাকা, কাকরোল ৫৫ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০-৬৫ টাকা ও আমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটি প্রতি ২০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা এবং লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে কেজি প্রতি ছোলা ৮৫ টাকা, দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ৯০ টাকা, মাসকলাই ১২৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকা, প্রতি লিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কেজি প্রতি দেশি রসুন ১১০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় রসুন ১২০ টাকা, আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা দরে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই মাছ ২৮০-৪০০ টাকা, সরপুঁটি ৩৮০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০-৩০০ টাকা, চাষের কৈ ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১২০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় বাজারে কোনো ইলিশের দেখা মেলেনি।
ব্রয়লার মুরগি আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫৫ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি পিস ৪৫০ টাকা, পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ২০ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস