কঠোর লকডাউনের আগ মুহূর্তে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে। গাদাগাদি করে কার আগে কে টাকা তুলবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন গ্রাহকরা। আর ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আমানতের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলনসহ বিভিন্ন ভাতা তোলার চাপ বেড়েছে। সীমিত সময়ে গ্রাহকের বাড়তি চাপে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরাও।
চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যাংকে প্রবেশের অপেক্ষায় গ্রাহকরা। তীব্র গরমে মেজাজ হারিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে অনেকেই জড়াচ্ছেন বাক-বিতণ্ডায়।
বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাবে পুরোদেশ। তার আগে মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কার আগে কে সারবেন প্রয়োজনীয় লেনদেন সেই প্রতিযোগিতায় উধাও স্বাস্থ্যবিধি। লকডাউন ও রমজানের কেনাকাটায় যাতে আর্থিক সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য কেউ এসেছেন সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকা তুলতে। কেউবা তুলছেন জমানো পুঁজি।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে টাকা জমা দেয়ার চেয়ে উত্তোলনের চাপ বেশি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঈদকেন্দ্রিক লেনদেনের সাথে তুলনা করছেন তারা।
সোনালি ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্থানীয় কার্যালয়) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদের চেয়েও বেশি মানুষ এসেছেন টাকা তুলতে। কারণ গ্রাহকরা মনে করছেন হয়ত সামনে বড় ধরনের লকডাউন আসতে পারে। সেই হিসেবে তারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনের আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন করা যাবে। আর লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।