করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক মন্দায় হিমশিম খাচ্ছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশে আটকে পড়া প্রবাসী অভিবাসীরা যেমন ফিরতে পারছেন না নিজেদের কর্মস্থলে, ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক মন্দার ফলে অনেকেই চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। কর্মহীন এ সকল অভিবাসীদের এই দুর্দিনে পেনশন ভাতা চালু ও সহজ কিস্তিতে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১ বছর ধরে সারাবিশ্বে করোনার তান্ডবে লণ্ডভণ্ড মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন। লকডাউন ও কারফিউর কারনে কর্মচাঞ্চ্যলতা স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শপিংমল ও রেস্টুরেন্টগুলোর বেচাকেনায় নেমে আসে স্থবিরতা। এর প্রভাব পড়ে প্রবাসীদের কর্মস্থলেও।
এছাড়া অনেকেই আবার চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। দোকান ভাড়া ও শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে না পেরে বিক্রি করে দিয়েছেন তাদের প্রতিষ্ঠান। এর ফলে অনেকেই চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে দেশে চলে যান।
অন্যদিকে, প্রায় ১ বছর যাবৎ ছুটিতে থাকা প্রায় ১২ হাজার অভিবাসী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে ফিরে আসতে না পারায় কর্মহীন হয়ে বেকারত্ত্বের অভিশাপ নিয়ে দেশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই তাদের এই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে সরকার যেন তাদের জন্য পেনশন ভাতা চালু করেন এবং সহজ কিস্তিতে ঋণের সুব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কুয়েতে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। আর এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার প্রবাসী দেশে ছুটিতে গিয়ে আটকা পড়ে বেকারত্ব জীবন যাপন করছেন।