করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝিতে ফ্রান্সে প্রথম দফার লকডাউন শুরু হয়। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় যার মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ে কয়েক বার। মাঝে কিছুদিন চালু থাকলেও প্রায় বছরব্যাপী বন্ধ রয়েছে দেশটির বার-রেস্টুরেন্ট। এদিকে, অর্থ সংকটের প্রভাব পড়েছে দেশটির সব খাতেই। বিশেষ করে পর্যটন শিল্পে।
ফ্রান্সের পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতা ও ফ্রান্স বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বার্সের সভাপতি বলেন, এ শিল্পের সঙ্গে দেশটির অনেক খাতের সম্পর্ক রয়েছে তাই এখানকার নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ছে অন্যান্য খাতেও।
সংকটের কারণে এ সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় যেমন কাজ হারিয়েছেন অনেকে তেমনি প্রভাব পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসাতেও।করোনাভাইরাসের কারণে সামগ্রিকভাবে ফ্রান্সের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জানিয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সময় আমাদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে আর রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিতে আবারও চাঙাভাব ফিরে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে, সংকট মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্থানীয় কাউন্সিলর শারমিন হক।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সে করোনার সংকট শুরু হওয়ার পর বন্ধ হয়েছে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান
আর কাজ হারিয়েছেন কয়েক লাখ শ্রমিক। দেশটিতে এখন বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় বেকারত্বের হার কিছুটা কমলেও সংকট এখনো চলমান থাকায় আবারও বেকারত্বের হার বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফ্রান্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর পরিস্থিতির এখনো উন্নতি না হওয়ায় এর থেকে কবে উত্তোলন করবে এটি এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।