সৌদি আরবে করোনাজনিত নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আর বাড়বে না বলে জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ। গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ই মার্চ পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণায় লোকসানের মুখে থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আবারও ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা করছেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘসময় প্রবাসীদের ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকায় ক্ষতির মুখে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলোতেও ছিলো একই দশা। পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতেও বাধ্য হয়েছেন অনেকে। কিন্তু যারা টিকে আছেন তারাও প্রত্যাশা করছেন, সামনের দিনগুলোতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও ক্রেতা সমাগম শুরু হবে মার্কেটগুলোতে।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতোপূর্বে গত চৌঠা ফেব্রুয়ারি থেকে দুই দফায় সময়সীমা বাড়িয়ে সব ধরনের গণ-জমায়েত ও রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন বন্ধ থাকলেও, নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। সরকারের এমন ঘোষণায় স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলেন, আশা করছি আর ক্ষতি হবে না। দোকান খোলা থাকলে লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
নতুন করে এই ঘোষণার ফলে সিনেমা, খেলাধুলা, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিধিনিষেধ উঠে যাবে, এছাড়াও রেস্টুরেন্টে সরাসরি খাবার পরিবেশনে আর কোন বাধা থাকবে না। কিন্তু সব ক্ষেত্রে করোনা সতর্কতার নিয়মসমূহ কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় নিয়ম অমান্যকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, হোটেল, রেস্তোরাঁ, কমিউনিটি সেন্টারে যে কোনো বড় আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতির নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল থাকবে।