প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যেও স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা কাটছেই না। বর্তমান বাজারে স্বর্ণের দাম কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। আর এ জন্যই স্বর্ণের দাম নিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত চিন্তায় থাকেন। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্বর্ণের দাম উঠানামা করায় দেশের বাজারে কিছু মহল বাড়তি দামেই স্বর্ণ বিক্রির চেষ্টা করেন। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় দেশের বাজারে প্রতি ভরিতে স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫শ’ টাকা কমিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ৭১ হাজার ১৫০ টাকায়।
গত মঙ্গলবার বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ বুধবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাজুসের সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা নিম্নমুখী। তাই দেশীয় জুয়েলারির বাজারে অচলাবস্থা কাটাতে ও ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে চলতি বছরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাজুস ভরি প্রতি সোনার দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এটি। তবে অপরিবর্তিত থাকবে রুপার দাম।
স্বর্ণের নতুন দাম অনুযায়ী, ৩ মার্চ থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা কমিয়ে ৭১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের সোনা ৬৮ হাজার, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৫৯ হাজার ২৫৩ এবং সনাতন পদ্ধতিতে প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৩০ টাকা।
এদিকে, সোনার দাম কমলেও পূর্বের নির্ধারিত দাম বহাল থাকছে রুপার ক্ষেত্রে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ এবং সনাতন পদ্ধতিতে রুপার দাম ৯৩৩ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গত ২ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৬৯ হাজার ৫১৭, ১৮ ক্যারেটের ৬০ হাজার ৭৬৯ ও সনাতন পদ্ধতিতে প্রতি ভরি সোনা ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।