বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে জমা প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকার ৭৩ শতাংশই ২২টি ব্যাংকে। আর বাকি অর্থ রয়েছে দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানে। এতে শীর্ষ ক্যাটাগরির ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রাহকের সেবায় তুষ্টি ও ব্যাংকিং পণ্যে নতুনত্ব থাকায় আমানত প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাংক গবেষকরা মনে করেন, একই মার্কেটে সব ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করায় নতুন ঘরানার ব্যাংকগুলো পিছিয়ে থাকছে। ব্যাংকের কাছে টাকা ঋণ দেয়া বা নেয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহক-প্রতিষ্ঠান উভয়েই খোঁজেন নিজ সুবিধা।
আর এমন অবস্থায় যেখানে চাহিদা ও প্রাপ্তির ঘটে সম্মিলন, সেখানেই গ্রাহক জমা রাখেন নগদ অর্থ। এই আস্থা আর আকর্ষণে রয়েছে এখনো বেশিরভাগ পুরনো ব্যাংক, সাথে যোগ হয়েছে কয়েকটি ইসলামী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং খাতে বিভিন্ন মেয়াদী মোট জমা অর্থের পরিমাণ ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। আর যার প্রায় ৭৩ শতাংশই ২২টি ব্যাংকের কাছে।
যেখানে সোনালী ব্যাংক ও ইসলামি ব্যাংক উভয়েরই আমানত ১ লাখ কোটি টাকার উপরে। ব্যাংক এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসান এ সায়মন বলেন, যে ব্যাংকগুলো মার্কেটে লিড দিচ্ছে; তাদের প্রত্যেকের দক্ষ কর্মী রয়েছে। এছাড়াও মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি মানুষের কাছে যত যাবেন ততই তারা ব্যাংকমুখী হবে। এদিকে, তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলো আমানত সংগ্রহে পিছিয়ে আছে। এসবসহ তিন ভাগের দুভাগ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে মোট আমানতের মাত্র ২৭ শতাংশ বা পৌনে ৪ লাখ কোটি টাকা।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থপনা পরিচালক বলেন, যে ব্যাংকে তাদের টাকাগুলো নিরাপদ থাকবে তারা সেই ব্যাংকের দিকে ধাবিত হবেন। এক ব্যাংক বিশেষজ্ঞ বলেন, অনিয়ম বন্ধসহ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ ও নতুন পণ্যে জোর দিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ২০০১ সালের পর এ পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া ১৭টিসহ দেশী, বিদেশী, বিশেষায়িত মোট ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি।