২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আর নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ হলো। ফলে মোট করভার দাঁড়াবে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার কিছু বেশি। এতদিন যা ছিল ২২ টাকার মতো।
ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে। গত অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে স্থবির দেশের অর্থনীতি।
এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ব্যাংকে টাকা রাখার খরচ বাড়ছে : ব্যাংক হিসাবে ১০ লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকার ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। ফলে যারা ব্যাংক হিসাবে ১০ লাখ টাকার ওপরে রাখেন তাদের ব্যাংকে টাকা রাখার খরচ বাড়বে।
গতকাল ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ব্যাংক হিসাবে ও বিমান টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক আদায় করা হয়ে থাকে। এই আইনের প্রয়োগ সহজবোধ্য ও যুযোপযোগী করার লক্ষ্যে কতিপয় ধারা সংযোজন ও সংশোধনের প্রস্তাব করছি।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বর্তমানে যা আছে তাই রাখা হয়েছে। ১০ লাখ টাকার বেশি থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতি থাকা ব্যাংক হিসাবের আবগারি শুল্ক দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এক কোটি টাকার বেশি থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর পাঁচ কোটি টাকার বেশি স্থিতির ক্ষেত্রে আবগরি শুল্ক ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংকে টাকা রাখার খরচ বাড়ছে।