আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, যা গত বাজেটে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ফলে কোভিড-১৯ এর মধ্যেও মূল্যস্ফীতির হারে সুখবর এলো।
জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা ভাইরাস মহামারির সংকটময় পরিস্থিতিতে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এসময় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হবে আশা করছি। কৃষি হচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত। আমরা অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজ প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসনে জোর এবং সারের ওপর ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখবো।’
কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত বিশ্ব। তবে বাংলাদেশে খাদ্যখাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। চলতি বছরের মাসওয়ারিতে মে মাসে সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হারে স্বস্তি এসেছে। তিন খাতেই মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। মে মাসে সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, মাছ, শাক-সবজি বিশেষ করে আলু, বেগুন, শিম, কুমড়া, গাঁজর, শসা, টমেটো,ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক ও মূলার দাম কমেছে। ফল জাতীয় পণ্যের মূল্য কমেছে। মসলা জাতীয় পণ্য যেমন পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামও মাসওয়ারি কমেছে। সব নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় মূল্যস্ফীতির হারে লাগাম টেনে ধরা হবে।