ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের একদিন উত্থানের পর টানা চার কার্যদিবস পতন হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (৪ জুন) ডিএসইর সূচক ১০ পয়েন্ট কমলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। যা ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ৯১৫ ও ১৩২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে এ দিন ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১১০ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৫২ কোটি টাকার।
এদিকে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল আজকের চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার। আজ ডিএসইতে ৩০৯ টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টি কোম্পানি কমেছে ৩৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর। বৃহস্পতিবার লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন, সেন্ট্রাল ফার্মা, লিন্ডে বিডি, স্কয়ার ফার্মা, ইন্দো-বাংলা, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসসিসিএল, একমি ল্যাব ও রেকিট বেনকেজার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির কোম্পানির শেয়ার দর। সিএসইতে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার।