অবশেষে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা অংশে ভারতীয় রেলওয়ে নির্মাণ সংস্থা ইরকন ফ্লাইওভার (উড়াল) রেলপথের পিলার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ভারত সরকারের অর্থায়নে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মাণে মোট ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
ত্রিপুরা অংশে জমি অধিগ্রহণের জন্য ভারত সরকার ত্রিপুরা রাজ্য সরকারকে ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ইতোমধ্যে দিয়েছে। পূর্বে মিটারগেজের লাইন নির্মাণ করার কথা থাকলেও সিদ্ধান্ত বাতিল করে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আগরতলা রেলস্টেশন থেকে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৩.৭ কিলোমিটার হবে ফ্লাইওভারসহ আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন রেললাইন। এই ৫ কিলোমিটার রেললাইনের জন্য ২৫৭ জন মালিককে জমি ছাড়তে হয়েছে। এদের মধ্যে ২০টি পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
যদিও রেলপথ প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আব্দুল হাই বলেন, বাংলাদেশ অংশের আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ও মনিয়ন্দ এলাকার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা ভূমির মূল্য পরিশোধ করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণ শেষেই শুরু হবে এ অংশের রেললাইন স্থাপনের কাজ।
আখাউড়া-আগরতলা ১৫ কিলোমিটার রেলপথে স্টেশন হবে চারটি। এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় অংশে থাকবে ত্রিপুরার আগরতলা ও নিশ্চিন্তপুর স্টেশন।
অপরদিকে বাংলাদেশ অংশে থাকবে গঙ্গাসাগর ও আখাউড়া স্টেশন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত স্টেশন নিশ্চিন্তপুর ও গঙ্গাসাগর এ দু’টি নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। এর একটি ভারতে নিশ্চিন্তপুর। অপরটি বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর। তবে, আখাউড়া ও আগরতলা এ দু’টি রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন আনুষঙ্গিক পরিকাঠামোগত কিছু কাজ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৫৪ ঘণ্টা, ০৮ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ