করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন অবস্থা বিরাজের মধ্যে গত এক সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় সাতটি পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। দাম বৃদ্ধি পাওয়া সাতটি পণ্য হলো- চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও শুকনো মরিচ। এসব পণ্যের মধ্যে আদার ঝাঁজ বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বেশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেড়শ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকার বেশি দরে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে গতকাল ১৭ এপ্রিল এসব পণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।
এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে আদার। এ পণ্যটির দাম এক সপ্তাহে ১০৪ শতাংশ বেড়েছে। আর শতকরা হিসেবে সবচেয়ে কম দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের। এ পণ্যটির দাম বেড়েছে এক শতাংশ।
বর্তমানে নাজির ও মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুই ধরনের চালের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পাইজাম ও লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৮ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
দেশি শুকনো মরিচের দাম এক সপ্তাহে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শুকনো মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
গত এক সপ্তাহে দেশি ও আমদানি উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে দেশি পেঁয়াজের তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির হার বেশি। ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা। আর আমদানি পেঁয়াজের দাম ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ৩৫-৪৫ থেকে হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা।
গত এক সপ্তাহে ছোট দানার মসুর ডালের দাম ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ছোট দানার মসুর ডালের দাম বেড়ে হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। পেঁয়াজ-রসুনের দামও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি রসুনের দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাঁচ লিটার বোতলের সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা।