নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলেও ৩৭০ কারখানার মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেননি বলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর জানিয়েছে। মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ছুটির ও অচলাবস্থার পরিস্থিতিতে গত ১৩ এপ্রিল শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান হুশিয়ারি দিয়ে কারাখানা মালিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে হবে। ওই তারিখের মধ্যে বেতন দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপদির্শক শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, এতে বলা হয়, ঢাকা জেলার ১২২টি, গাজীপুর জেলার ১২০টি, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৩০টি, চট্টগ্রাম জেলার ৫৮টি, পাবনা জেলার তিনটি, নরসিংদী জেলার ছয়টি, ময়মনসিংহ জেলার ১১টি, মুন্সিগঞ্জ জেলার একটি, দিনাজপুর জেলার তিনটি, রংপুর জেলার দুটি, কুমিল্লা জেলার পাঁচটি, ফরিদপুর জেলার চারটি, রাজশাহী জেলার দুটি, খুলনা জেলার তিনটি কারখানার মালিক নির্ধারিত ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন।
২৩টি উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
লকডাউনের ভেতর বেতন না পেয়ে অচলাবস্থার মধ্যে পোশাক শ্রমিকরা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। বেতনের দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। এই জমায়েত ও বিক্ষোভে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।