রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে দাম আরো বেশি। শুধু কাঁচামরিচই নয়, সব ধরনের সবজির দামও বেড়েছে। বাজারে ৫০ টাকা কেজির নীচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। এছাড়া চালের দাম কিছুটা কমলেও এখনো মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। ফলে ভালো নেই স্বল্প আয়ের মানুষ।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, নিউমার্কেট ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দামের এ তথ্য পাওয়া যায়।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দেশে উত্পাদিত কাঁচামরিচ দিয়েই ভোক্তাদের চাহিদা মেটে। কিন্তু এ বছর বন্যা ও অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক সবজিক্ষেত নষ্ট হওয়ায় কাঁচামরিচের যোগান কমে গেছে। ফলে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু দুর্গাপূজা উপলক্ষে ছয় দিন বেনাপোলসহ অন্যান্য স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এ সময়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসেনি। দাম বাড়ার এটাও একটা কারণ বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তবে গত মঙ্গলবার থেকে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাই কাঁচামরিচের দাম শিগগির কমতে শুরু করবে।
গতকাল রাজধানীর খুচরাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে পাড়া-মহল্লায় একশ’ গ্রাম কাঁচামরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন অনেক দোকানি। এছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল, চিচিঙ্গা ও করল্লা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কচুরমুখী ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতারা জাহাঙ্গীর বলেন, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া এ সময় গ্রীষ্মকালীন সবজির মৌসুম শেষের দিকে বলে সরবরাহও কম থাকে। ফলে দাম চড়া।
সবজির পাশাপাশি মাছের দরও চড়া। ৫০০ গ্রাম ওজনের এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকায়। আর ৯শ’ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায়। অন্যান্য মাছের মধ্যে চাষের কৈ ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, রুই-কাতলা ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের দাম কিছুটা কমলেও এখনো মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া পাইজাম/লতা ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা ও নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাব সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ