করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে জ্বালানি তেলের বাজারে ধ্বস

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ব একটি গুরুতর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে এটি কোনও গোপন বিষয় নয়। এটি কেবলমাত্র একটি সম্ভাব্য জনস্বাস্থ্য মহামারীই নয়, এটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেন এবং বাজারগুলিতেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। ভাইরাসের কারণে লকডাউনের যে অর্থনৈতিক ক্ষতি বিপর্যয় ডেকে আনবেন, এতে এক দশক আগে অর্থনীতির খারাপ সময়ের চেয়েও বিশ্বে আরও কঠিন মন্দা দেখা দিতে পারে।

করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রায় সব কলকারখানা এখন বন্ধ। আগের মতো নেই জ্বালানি তেলের চাহিদাও। এ অচলবস্থা দীর্ঘমেয়াদে হতে পারে এমন আশঙ্কায় জ্বালানি তেল ২০ ডলারের নেমেছে। কোম্পানিগুলো বলছে এ মূল্যে তাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। ফলে একে একে উৎপাদন ত্রেগুলো বন্ধ করা ছাড়া উপায় দেখছে না তারা।

গতকাল সোমবার বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অশোধিত তেলের দাম ৫.২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয়েছে ২০.৪০ ডলার। যা গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। লন্ডনের ব্রেন্ট তেলের দাম ৮.৪ শতাংশ কমে হয়েছে ২২.৮৪ ডলার। যা ২০০২ সালের নভেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন।

ইউবিএসের তেল বিশ্লেষক জিওভানি স্টোনোভো বলেন, কভিড-১৯ অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সামাজিক দূরত্বের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমেছে। এ অবস্থায় অনেক কম্পানিকে হয়তো তেল ক্ষেত্রগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

অন্যদিকে তেলের বাজারে মূল্যযুদ্ধে নেমেছে সৌদিআরব ও রাশিয়া। এ দুটি দেশ উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়ার কারণেও দাম পড়েছে। রিস্ট্যাড এনার্জির প্রধান বিজর্নার টনহোজেন বলেন, চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় তেলের বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। গত একবছরে চাহিদা ২০ শতাংশ কমেছে।

সূত্র: রয়টার্স

Scroll to Top