অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বেসিক ব্যাংকের তহবিল ঘাটতি মেটাতে অস্থায়ী তহবিল প্রদানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ব্যাংকটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান করতে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ১৯৮৯ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর কোন অর্থমন্ত্রীর এটি প্রথম ব্যাংক পরিদর্শন।
তিনি বলেন, \’আমি বেসিক ব্যাংকের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে তহবিলের ব্যবস্থা করব। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নয়। আমরা দেখব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিভাবে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। তবে এই তহবিল পেতে হলে আগে একটি কর্মপরিকল্পনা আমাকে দেখাতে হবে।\’
অর্থমন্ত্রী ব্যাংকের পুঞ্জিভূত লোকসানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, \’সরকার ব্যাংকটিকে লাভজনক করতে পুনরায় অর্থ সহায়তা দিবে। চলতি বছরসহ গত তিন বছরে ব্যাংকের যে সকল শাখা লোকসান দিয়েছে, সরকার সে সকল শাখা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।\’ তিনি ব্যাংকের প্রতিটি শাখা লাভজনক করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
তিনি ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি সম্পর্কে সরকারের নীতির উল্লেখ করে বলেন, \’এই ব্যাংকের প্রায় ৩৮০ জন ঋণ খেলাপি তাদের বকেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করার আবেদন জানিয়েছে। খেলাপি ঋণ গ্রাহকেরা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট করে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে বকেয়া ঋণ ১১ বছরে পরিশোধ করার সুযোগ পাচ্ছে। এটি তাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ।\’ তিনি নতুন গ্রাহক খুঁজে বের করার চেয়ে পুরাতন গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন।
এনবিআর\’র চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া ভাল গ্রাহকদের ঋণ দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। ব্যাংকটি এক বছরের মধ্যে সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ. আসাদুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজুদ। অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক এবং বেসিক ব্যাংকের পরিচালক মামুন আল রশিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আলম পাওয়ার পয়েন্টে ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।