দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য থেকে সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ হাজার ৩৯ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭ কোটি টাকা বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৪ হাজার ২২ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বেনাপাল কাস্টমস্ কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী সোমবার বলেন, গত অর্থবছরে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি যেমন ১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে কম শুল্কের পণ্য আমদানি। যেমন কম শুল্কের পণ্যের মধ্যে পাথর আমদানি বেড়েছে ৪০০ গুন। এসব কারণে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। তবে এসব প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় গতবছর রাজস্ব আয় বেড়েছে।
তিনি বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে ইতোমধ্যে পণ্য খালাসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো হয়েছে। একদিনেই অধিকাংশ পণ্য খালাস করা হচ্ছে। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ ও চোরচালান প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে চলমান ১৩ বন্দরের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে বেনাপোল বন্দরের কাস্টমস হাউজ থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যের আগ্রহ রয়েছে যথেষ্ট।
বন্দর সূত্র জানায়, প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে গড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকারের ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়। বন্দরে আমদানি পণ্যের ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে বন্দরে ২৮টি পণ্যাগার, ৮টি ওপেন ইয়ার্ড, একটি ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল, একটি রফতানি ট্রাক টার্মিনাল ও ১টি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। বাসস।