আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপিতে সাময়িক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। এই অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল।
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে আগামী বাজেট ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ বড়। আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। আর ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা (৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা) ধরা হয়েছে তা দেশের মোট জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত কর ১৪ হাজার ৫০০ কোটি, কর ব্যতিত প্রাপ্তি ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটের পরিচালন ব্যয় ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
ঘাটতি অর্থায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক উৎস (অনুদানসহ) থেকে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এসকেবি