জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। \’সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ: এখন সময় আমাদের, এখন সময় বাংলাদেশের\’ শিরোনামে এবং ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে দাম বাড়ছে আমদানি করা মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনার, মোবাইল ফোন, সিগারেট, গুল ও জর্দ্দার।
এবারের বাজেটে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে, এনবিআরের মাধ্যমে আয় হবে তিন লাখ ২৫ হাজার ৬শ কোটি টাকা। আর এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে কর সাড়ে ১৪ হাজার কোটি, কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৩৭ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি অনুদান ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
এদিকে, ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে নেয়া হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ বাবদ ধরা হতে পারে ৫০ হাজার ৬শ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের জন্য দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মাসব্যাপী আলোচনার পর আগামী ৩০শে জুন পাশ হবে নতুন বাজেট।
এর আগে, সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষে বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয় প্রস্তাবিত বাজেটের।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এনপিবি